সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল সীমান্তের ওপারে ভারতের ডাউকি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশিদের ভারতে ঢুকতে দিচ্ছে না সে দেশের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা।
ভারতের নাগরিকত্ব বিল (এনআরসি) নিয়ে উত্তেজনার পর মেঘালয় রাজ্যে কারফিউ জারির কারণে বাংলাদেশিদের সে দেশে প্রবেশে বাধা দেয়া হচ্ছে। খবর: ইউএনবি
এদিকে কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়া আচমকা এই বাধায় বিপাকে পড়েছেন বাংলাদেশি পর্যটকেরা। আগে থেকে না জানায় শুক্রবার সকাল থেকে অনেক পর্যটক তামাবিলে জড়ো হন।
বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন থেকে তাদের ছেড়ে দেয়া হলেও ভারতীয় ইমিগ্রেশন আটকে দেয়। ফলে ভারতের ডাউকি থেকে ফিরে আসতে হয় তাদের।
সিলেটের তামাবিল দিয়ে ডাউকি হয়ে সাধারণত ভারতের মেঘালয় রাজ্যে বেড়াতে যান বাংলাদেশিরা। শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় পর্যটকদের ভিড় ছিল তুলনামূলক বেশি। তবে বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ে কারফিউ জারি করা হয়।
সিলেটের তামাবিল কাস্টমসের উপপুলিশ পরিদর্শক রমজান মিয়া বলেন, ‘বেলা ১১টা পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে আমরা শতাধিক যাত্রীকে ভারতে যেতে দেই। তবে কিচ্ছুক্ষণ পরই তারা ভারতের কাস্টমস থেকে ফিরে আসেন। তাদেরকে যেতে দেয়া হচ্ছে না বলে জানান তারা।’
‘এর কিচ্ছুক্ষণ পর ভারতীয় কাস্টমসের একজন কর্মকর্তা এসে মেঘালয়ের অস্থিরতার কারণে কাউকে যেতে দেয়া হচ্ছে না বলে জানান এবং আজকে আর যাত্রী না ছাড়তে আমাদের অনুরোধ করেন,’ বলেন তিনি।
শিলংয়ে বেড়াতে যাওয়ার জন্য শুক্রবার সকালেই স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তামাবিলে হাজির হন কুমিল্লার সাদ উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘ডাউকিতে অনেকক্ষণ বসিয়ে রাখার পর ভারতীয় কাস্টমস কর্মকর্তারা আমাদের দেশে ফিরিয়ে দেন। এ ব্যাপারে তারা আগে থেকে কিছু জানায়নি। ফলে আমাদের মতো অনেকেই ভোগান্তিতে পড়েছেন।’
ভারতের ডাউকি কাস্টমস অফিসের কাস্টমস কর্মকর্তা ডেকলিন রেনজা বলেন, ‘কারফিউ এর কারণে শিলংয়ে হোটেল-দোকানপাট সব বন্ধ আছে। পর্যটকদের দুর্ভোগ আর নিরাপত্তার কথা ভেবেই তাদের যেতে দিচ্ছি না। পরিস্থিতি শান্ত হলে আবার বাংলাদেশি পর্যটকরা যেতে পরবেন।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার তামাবিল দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানেরও ভারতে যাওয়ার কথা ছিল। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার তিনি এ সফর বাতিল করেন।
All rights reserved © 2019 Business Pratidin ||
এই ওয়েবসাইটের কোন লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি